মনপুরায় জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি

প্রচ্ছদ » প্রধান সংবাদ » মনপুরায় জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি
শনিবার, ২৬ জুন ২০২১



আজকের ভোলা রিপোর্ট ॥
জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছে ভোলার মনপুরার বাসিন্দারা। গত শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। ঢাকার মনপুরা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান।
এ সময় বক্তারা বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী শতভাগ বিদ্যুতায়ন বাস্তবায়নে ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চলসহ বাংলাদেশের অনেক দুর্গম চরে ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। মনপুরা উপজেলার আশপাশে মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ বসবাসকারী একটি ওয়ার্ডযুক্ত চরেও বিদ্যুৎ পৌঁছেছে। কিন্তু চারটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মনপুরা একটি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা হওয়া সত্ত্বেও দেড় লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর এই উপজেলায় আজও জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। এতে মনপুরার সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে অনলাইন ক্লাস এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না। সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত বিদ্যুতের অভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। ফলে মনপুরার বাসিন্দারা নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তারা আরও বলেন, শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ না থাকায় প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল সব ধরনের ব্যবসা ও শিল্প সম্প্রসারণে ব্যাঘাত ঘটছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত সাগরকন্যা মনপুরায় রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। এখানকার মানুষের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উৎস মৎস্য আহরণ ও কৃষি চাষাবাদ। মৎস্য আহরণে জাতীয় জিডিপিতে মনপুরার মৎসজীবীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু এই মৎসজীবীদের আহৃত রুপালি ইলিশ সংরক্ষণ ও বাজারজাত করা সম্ভব হচ্ছে না শুধু বিদ্যুৎ না থাকার কারণে। বক্তারা বলেন, মনপুরায় ডিজেলচালিত একটি বিদ্যুৎ স্টেশন থাকলেও তা উপজেলা সদরের মাত্র দেড় হাজার বাসিন্দাদের রাতে ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেয়া হয়, যা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম। শুধু বিদ্যুতের কারণে মনপুরার মানুষ ইন্টারনেট জগতের বাইরে রয়েছে। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, মনপুরার তিনটি ইউনিয়নে ওয়েস্টার্ন রিনিউবল এনার্জি কোম্পানি সোলার প্যানেল স্থাপন করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এই সোলার প্যানেল কোম্পানিপ্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ চার্জ নিচ্ছে ৩০ টাকা। মাসিক ভ্যাট ৭০ টাকা এবং এককালীন মিটার খরচ নিচ্ছে ৫-৮ হাজার টাকা, যা বিশ্বের কোথাও নেই। তারা বলেন, মনপুরাবাসীর জন্য ৩০ টাকা ইউনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। কারণ এখানকার ৯৫ ভাগ মানুষ নিতান্ত দিনমজুর, জেলে, কৃষক। তাছাড়া উৎপাদন সীমাবদ্ধতার কারণে সোলার প্যানেলের বিদ্যুৎ মাত্র ৫ শতাংশ বাসিন্দারা পাচ্ছেন। তাই আমাদের দাবি, বর্তমান সরকারের আমলে মনপুরায় অনেক উন্নয়ন হলেও সরকারের মুজিববর্ষের অঙ্গিকার বাস্তবায়ন হিসেবে মনপুরায়ও যেন খুব শিগরিই জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৩:২৬   ৪১২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

প্রধান সংবাদ’র আরও খবর


ভোলায় ফিল্মি স্টাইলা অপহরণ ॥ কতিপর উদ্ধার
ভোলার ৩ উপজেলায় ৩৮ প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র দাখিল
ভোলায় পিপি লাভু’র জানাজায় তোফায়েল আহমেদ: ভালো মানুষ কর্মে বেঁচে থাকেন
ভোলা-ঢাকা নৌপথের কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে অগ্নিকান্ড
ভোলা বারের পিপি এডভোকেট সৈয়দ আশরাফ হোসেন লাবু আর নেই
ভোলায় যুবকের রহস্যজনক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট ভোলাবাসী, ৩ মাস ধরে বন্ধ বিদ্যুৎ প্লান্ট
ভোলায় সরকারী বন্ধের দিনে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার ॥ চলছে বিভাগীয় তদন্ত
স্বামীর কথা রাখতে ঝুপড়ি ঘর আঁকড়ে আছেন ছবরজান



আর্কাইভ