বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

ভোলা-লক্ষীপুর রুটে দীর্ঘ জট, আটকে আছে ২ শতাধিক যানবাহন

প্রচ্ছদ » জেলা » ভোলা-লক্ষীপুর রুটে দীর্ঘ জট, আটকে আছে ২ শতাধিক যানবাহন
শনিবার, ২৯ মে ২০২১



ছোটন সাহা ॥
ভোলা-লক্ষীপুর রুটের উভয়পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ২ শতাধিক যানবাহন। নাব্যত সংকট এবং ঝড়ের কারণে ৩ দিন ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় এ জটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা।
ঘাটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ফেরীর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না তারা। এতে করে দুই পাড়ে দীর্ঘ লাইন পড়ায়  গন্তব্যে যেতে পারছে না পন্যবাহি ট্রাকসহ অন্যান্য যানবহান। এতে চরম বিড়ম্বনার, দুর্ভোগ আর লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (২৯ মে) বিকাল পর্যন্ত ভোলা ইলিশা ঘাটে ৯০টি এবং মজুচৌধুরি ঘাটে আরো ৮০ পন্যবাহি পরিবহন পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।

---

জানা গেছে, দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম ভোলা-লক্ষীপুর ফেরী রুটটি দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম। ২৮ কিলোমিটারের এ রুটে বর্তমানে ৪ টি ফেরী নিয়মিত চলাচল করে আসছে। বর্তমানে ঘাটে দীর্ঘজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাক চালকরা জানান, তাদের মধ্যে অনেকেই গড়ে ৩/৪ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন কিন্তু গন্তব্যে যেতে পারছেন না, কবে যেতে পারবেন তাও তাদের জানা নেই। তাদের অভিযোগ, দৈনিক ৪টি ফেরী ৮ বার করে ফেরী চলাচল করলেও  জট কমছে না। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কয়েকজন ট্রাক চালক জানান, ভোলা-লক্ষীপুর রুটটি গুরুপ্তপূর্ণ হলেও অবহেলিত, একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। একদিকে নাব্যতা সংকট অন্যদিকে জোয়ারভাট। এতে ৩ ঘন্টারদর পথ যেতে গড়ে ৪/৫ ঘন্টা লাগছে।
ঘাটে গিয়ে জানা গেল, চার ফেরী দিয়ে যানবাহন পারাপার হলেও ফেরীর ট্রিপ কমে যাওয়ায় উভয় পাড়ে পরিবহনের  দীর্ঘ লাইনজটের সৃষ্টি হয়েছে। জট কমাতে ৮ বার করে পারাপার হলেই কিছুতেই জট কমছে না। এতে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা।
বেশীরভাগ ট্রাকই ঘাটে ৪/৫ দিন ধরে আটকে আছে। একের পর এক সমস্যার কারনে এ রুটটি এখন বিড়ম্বনায় আর ভোগান্তিতে অতিষ্ট চলাচলকারীরা। তবে খুব দ্রুত জট কমে যাবে বলে জানিয়েছেন ভোলা ফেরীঘাটের বিআইডব্লিটিসির ম্যানেজার মো: পারভেজ খান।
তিনি বলেন, ঝড়ের কারনে ৩ দিন ফেরী চলাচল বন্ধ ছিলো, এতে ঘাটে পরিবহনের চাপ বেড়েছে। তবে আমরা দ্রুত জট কমানোর চেষ্টা করছি। আশা করি, আগামী ২ দিনের মধ্য জট কমে যাবে। তখন আর এ অবস্থা থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৭:৫৫   ৪০৮ বার পঠিত