বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

মৌসুমী তাপদাহ ॥ দৌলতখানে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরমে

প্রচ্ছদ » দৌলতখান » মৌসুমী তাপদাহ ॥ দৌলতখানে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে গ্রাহকদের দুর্ভোগ চরমে
রবিবার, ২৩ মে ২০২১



দৌলতখান প্রতিনিধি ॥
মৌসুমি তীব্র তাপদাহের প্রভাবে ভোলার দৌলতখানে গত কয়েকদিন যাবত মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। ফলে নাভিশ^াস উঠেছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জীবনে। বাহিরে কাজ করাতো দূরের কথা, ঘরে বসে কাজ করতেও ত্রাহী অবস্থা। এ দুর্বিসহ অবস্থায় ‘মরার উপর যেনো খাড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং নামক ভেলকিবাজি। লোডশেডিংয়ের কারণে নাজেহাল অবস্থায় স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা। এলাকাবাসীর অভিযোগ- প্রচন্ড গরমের মধ্যে স্বস্তি পেতে বৈদ্যুতিক পাখার আশ্রয় নিতে গিয়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় সেই স্বস্তিও মিলছে না গরমে অতিষ্ঠ মানুষের। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার লুকোচুরি মানুষের ঘুমও কেড়ে নিচ্ছে। এদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে পোস্ট দিচ্ছেন। ফরাজি হারুন আর রশীদ নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ভোলার দৌলতখানে বিদ্যুতের চরম ভোগান্তি। দেখার কেউ নেই। মনে হয় ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাছে আমরা জিম্মি। শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আমরা। অথচ ৫০ ভাগ বিদ্যুৎ পাইনা। জাকির আলম নামের এক সংবাদকর্মী লিখেছেন,ভোলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি হয়রানিমুক্ত বিদ্যুতের অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের মাঝে আসলেও আমরা প্রতিনিয়ত তাদের হয়রানীর শিকার। পৌর শহরের ব্যবসায়ী জামাল লিখেছেন, দৌলতখান পৌরসভার মধ্যে এতো লোডশেডিং অথচ দেখার কেউ ইেন।

---

পৌরসভার বাসিন্দা মামুনুর রহমান বলেন, দিনের বেলায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়াতে যতটা ভোগান্তি বাড়ায়, রাতের বেলা এর কয়েকগুণ বেশি হয়। শনিবার রাতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে কয়েকবার ঘুম থেকে উঠে বাহিরে নির্ঘুম সময় কাটাতে হয়েছে। বয়স্করা কিছুটা সয়ে নিতে পারলেও শিশু ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। দৌলতখান পৌরসভার ৩ নং ওযার্ডের কাউন্সিলর হাসান মাহমুদ বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি শিকার হয়েও জনপ্রতিনিধি হিসেবে অনেকটা সহ্য করে নিতে হয়। কিন্তু আমার ওয়ার্ডের সাধারণ গ্রাহকরা এ ব্যাপারে আমাকে বললেও বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করা ছাড়া আমার করার কিছু থাকে না। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের এমন কর্মকা-ে জনসাধারণের মনে দিন দিন ক্ষোভ বেড়েই চলেছে।
দৌলতখান বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী আবদুর রশীদ বলেন, জেলায় বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই। গরমের তীব্রতা বাড়ার কারণে বিদ্যুৎ কনজামসন বেড়ে যাওয়ার ফলে ভোলা সদরের উৎপাদন কেন্দ্রের মেশিনের ওপর চাপ পড়ায় লোডশেডিং দিয়ে তা সামাল দিতে হচ্ছে। আরও একটি মেসিন স্থাপনের কাজ চলছে। সেটির কাজ সম্পন্ন হলে লোডশেডিং থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ০:০৫:২১   ৪৩৩ বার পঠিত