২ মাস পর আজ থেকে মাছ শিকারে নামছে জেলেরা

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » ২ মাস পর আজ থেকে মাছ শিকারে নামছে জেলেরা
শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল ২০২১



---

মোকাম্মেল মিশু ॥
ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার মার্চ-এপ্রিল দুই মাসব্যাপী দেশের ছয়টি অভয়াশ্রমে সকল প্রকার মাছ শিকারে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলো তার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৩০ এপ্রিল শুক্রবার। জেলেরা দুই মাস তাদের নৌকা মেরামত আর জাল বোনাসহ অন্যান্য কাজে সময় ব্যয় করেছে। এখন জোরে-শোরে প্রস্তুতি নিচ্ছে মাছ শিকারে নামার। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নদীতে নামবে জেলেরা। তবে তাদের দাবি বেশিরভাগ জেলেই সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে মাছ শিকার থেকে বিরত থেকেছে কিন্তু বিনিময়ে কোনো প্রণোদনা পায়নি। বরং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় অনেক জেলে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার করে ব্যর্থ করে দিয়েছে অভয়াশ্রমে মাছ রক্ষার এই কর্মসূচি।
ইলিশ এবং অন্যান্য মাছ যাতে অবাধে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য সরকার মার্চ-এপ্রিল দুই মাস অন্য অভয়াশ্রমের মতো ভোলার তেতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তমের ১ শত কিলোমিটার এবং মেঘনার ইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এলাকার দুটি অভয়াশ্রম সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ রেখেছিল।
এই দুই মাস জেলেরা নৌকা তৈরি, মেরামত ও জাল বোনাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিল। এখন নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ায় তাদের মাঝে তোড়-জোড় চলছে মাছ শিকারে নামার। উৎসবমুখর পরিবেশে মাছ শিকারে নামতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তারা। যদিও ভোলা জেলায় মৎস্য বিভাগের নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজার। তবে নিবন্ধন এর বাইরে রয়েছে আরও অন্তত দুই লাখ জেলে। এদের অধিকাংশই নিষিদ্ধকালীন সময়ে মাছ শিকারে নামেনি। জেলেদের দাবি মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য তারা কোনো প্রণোদনা বা সহায়তা পায়নি। বরং প্রভাবশালী নেতা এবং প্রশাসনের ছত্রছায়ায় একশ্রেণীর অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীরা চাপলি নামে পরিচিত কোটি কোটি ইলিশের বাচ্চা ধ্বংস করে ফেলেছে।
জেলে মো: রফিক জানান, অভিযানের এই দুই মাস তারা অনেক কষ্টের ছিলো। এখন অভিযান শেষ হয়েছে নদীতে যাওয়ার জন্য তারা একদম প্রস্তুত। আশা করতেছে মাছ পাবে কষ্ট কমবে।
জেলে শাহীন বলেন, আমরা যারা ছোট জেলে আছি তারাই অভিযানের দুই মাস মাস ধরেনি কিন্তু যারা বড় বড় জেলে ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা অবৈধ জাল দিয়ে ছোট ছোট সব মাছ নষ্ট করছে। এমনকি অভিযানের সময় আমরা কোনো সহযোগিতাও পাইনি।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম আজহারুল ইসলাম জানান, অভিযানের সময় যেসব জেলে আইন অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার জন্য নামে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয় হয়েছে। ১ শত ৬৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল, ৩ শত ৫০ জন জেলেকে আর্থিক জরিমানা ও কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল আটক এবং ধ্বংস করেছেন। তাই নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৯:১২   ৪১১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ভোলায় ওমানিয়ান টুপি সেলাই প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট বিতরন
ভোলায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তাদের মেলা অনুষ্ঠিত
ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
চরফ্যাশনে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী
বোরহানউদ্দিনে ফুটপাতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা
পথে পথে চাঁদাবাজি, ভোলার তরমুজচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে
ভোলায় ব্যবসায়িক অগ্রগতি পর্যালোচনা সম্মেলনে রূপালী ব্যাংক পিএলসিকে সর্ব শীর্ষে নিয়ে যাবার অঙ্গীকার
ভেজাল মসলা তৈরি: ভোলায় ২ কারখানাকে জরিমানা
ভোলায় বেড়েছে আলু ও কাঁচা মরিচের দাম
ভোলায় নারী উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল



আর্কাইভ