আগাম ফসল: চরফ্যাশনে রসালো তরমুজে চাষীর মুখে হাসি

প্রচ্ছদ » অর্থনীতি » আগাম ফসল: চরফ্যাশনে রসালো তরমুজে চাষীর মুখে হাসি
বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল ২০২১



চরফ্যাশন প্রতিনিধি ॥
মিঠা পানি আর পলিমাটির অঞ্চল চরফ্যাশন উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় শুষ্ক মৌসুমে হাজার,হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয় বাঙ্গি ও রসালো ফল তরমুজ। এবছর এ উপজেলায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বা¤পার ফলন হয়েছে তরমুজ ও বাঙ্গির।
আর এই তরমুজ সরক ও নৌ-পথে রপ্তানী করা হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বা¤পার ফলনে চাষীরাও রয়েছেন খোশ মেজাজে। ক্ষেত থেকেও পাকা তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। আগাম তরমুজে বেশি মুনাফার আশায় পাইকাররাও আসতে শুরু করেছেন চাষীদের দোরগোড়ায়। আবার অনেক চাষী পুরো ক্ষেত অধিক মুনাফায় আগাম বিক্রি করে দিচ্ছেন।

---

তবে গতবছর ঝরঝঞ্চা ও করোনায় বাজারঘাট বন্ধ থাকায় চাষীদের লোকসান গুনতে হলেও এ বছর যদি লকডাউন না থাকে তাহলে প্রথম কর্তনেই চাষীদের মূলধনসহ অধিক মুনাফা উঠে আসবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে উপজেলার একাধীক চাষী বলেন, গতবছরে তরমুজ চাষীরা মূলধন হারিয়ে ঋণগ্রস্থ হলেও খবর নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এবছর ঋণ নিয়ে তরমুজ ও বাঙ্গির আবাদ করলেও প্রথম কর্তনে ক্ষেত থেকেই তরমুজের পাইকাররা নগদ টাকায় ক্রয় করছেন। তবে দ্বিতিয় কর্তনে মূলধনসহ লাভবান হবেন বলে আশা করছেন এসব তরমুজ চাষীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মুজিবনগর, নজরুলনগর, কলমী, নীলকমল, নুরাবাদ, আহমদপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গির আবাদ করা হয়েছে। এসব এলাকার বিস্তীর্ণ এ তরমুজের ক্ষেতে চাষীরাও রয়েছেন কর্মব্যস্ততায়। প্রথম কর্তনেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারসহ ফলের দোকান ও আড়তগুলোতে তরমুজ ও বাঙ্গি আসতে শুরু করেছে। চৈত্রের গরমে লাল টকটকে রসালো এ আগাম তরমুজ একটু চড়া মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে হাটবাজারগুলোতে। ফলে সাধারণ ক্রেতারাও সাধ্য অনুযায়ী ১৫০ থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা খুচরা মূল্যে ক্রয় করছেন পিয়াসা মেটানো রসালো এ তরমুজ। এছাড়াও প্রতি পিচ বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় খুচরা বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী আবু কালাম জানান, গতবছর করোনার ধকল গেলেও এবছর প্রথম কর্তনের তরমুজ বাজারে আসায় দাম একটু চড়া। আসছে রমজান উপলক্ষে এসব তরমুজের দাম বাড়তে পারে বলেও মনে করেন তিনি। আড়তদার জামাল উদ্দিন বলেন, গতবছর লোকসান হলেও এবছর অধিক মুনাফা হবে তরমুজে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন বলেন, চরফ্যাশনে ৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও বাঙ্গি আবাদ হয়েছে। তরমুজ চাষীরা যেন বিপাকে না পড়ে এজন্য মাঠ পর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারী কামরুজ্জামান শিপনসহ অন্যান্যরা সার্বক্ষনিক মাঠ পরিদর্শন ও চাষীদের পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়াও ভোলা কৃষি স¤পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু এনায়েত উল্লাহসহ ঢাকা থেকে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণার একটি টিম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তরমুজের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০:৪৯:৪০   ৬২৫ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

অর্থনীতি’র আরও খবর


ভোলায় ওমানিয়ান টুপি সেলাই প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট বিতরন
ভোলায় প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী ও উদ্যোক্তাদের মেলা অনুষ্ঠিত
ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
চরফ্যাশনে দিনব্যাপী প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী
বোরহানউদ্দিনে ফুটপাতে ঈদের জমজমাট কেনাকাটা
পথে পথে চাঁদাবাজি, ভোলার তরমুজচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে
ভোলায় ব্যবসায়িক অগ্রগতি পর্যালোচনা সম্মেলনে রূপালী ব্যাংক পিএলসিকে সর্ব শীর্ষে নিয়ে যাবার অঙ্গীকার
ভেজাল মসলা তৈরি: ভোলায় ২ কারখানাকে জরিমানা
ভোলায় বেড়েছে আলু ও কাঁচা মরিচের দাম
ভোলায় নারী উদ্যোক্তাদের তিনদিনের ঈদমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল



আর্কাইভ