ইরাকে প্রস্তাব পাসের পর ট্রাম্পের হুমকি

প্রচ্ছদ » আন্তর্জাতিক » ইরাকে প্রস্তাব পাসের পর ট্রাম্পের হুমকি
সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২০



---
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥

ইরাকের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইরাক যদি জোরপূর্বক আমাদের সৈন্যদের সেদেশ ত্যাগে বাধ্য করে, তাহলে ইরাকের ওপর আমরা এত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে যে, যা আগে তারা কখনও দেখিনি।  রোববার বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ হুমকি দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চেয়ে রোববার দেশটির পার্লামেন্টের একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। মার্কিন বিমান হামলায় শুক্রবার ইরানের কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেইমানি ও দেশটির শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী হাশদ আল-শাবির উপ-প্রধান আবু মাহদি আল মুহানদিস নিহত হওয়ার দুদিন পর প্রস্তাবটি পাস হয়। এই প্রস্তাব পাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাবে ইরাক। ইরাকের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার আন্তর্জাতিক জোটের কাছে সহযোগিতা চেয়ে ইরাকে সেনা রাখার যে অনুরোধ করেছিল তা বাতিল করার প্রস্তাব করবে। কেননা ইরাকে সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার সঙ্গে জয় (আইএসকে পরাজিত) অর্জিত হয়েছে।’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যদি তারা (ইরাক) আমাদের (সৈন্যদের) ত্যাগ করতে বলে এবং আমরা যদি এটা সুসম্পর্ক বজায় রেখে না করতে পারি, তাহলে আমরা তাদের ওপর কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব। আর এ নিষেধাজ্ঞা তারা আগে কখনও দেখেনি। হুমকির পাশাপাশি ইরাকে নির্মিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটির জন্য ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত মার্কিন সেনারা ইরাক ত্যাগ করবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘সেখানে (ইরাক) আমাদের একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিমানঘাঁটি রয়েছে। এটা নির্মাণ করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে আর এটা আমার সময়ের অনেক আগে। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত এই ঘাঁটি ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না তারা আমাদের এর ক্ষতিপূরণ দেবে।’ মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের মদদে হেজবুল্লাহ মিলিশিয়া গত দুই মাসে একাধিক রকেট হামলা চালিয়েছে এই ঘাঁটিতে। ফলে ঘাঁটির ট্রিনিং মিশন বন্ধ রয়েছে। এখন আমাদের কাজ হবে শত্রুর হামলা থেকে এই বিমানঘাঁটিকে রক্ষা করা। গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের অঘোষিত সেনাপতি ও দেশটির ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হন। তারপর থেকে চিরবৈরী ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরও চরমে। মধ্যপ্রাচ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিতও দিচ্ছেন অনেকে। সোলেইমানিকে হত্যার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে ফের হামলার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইরান যদি আমেরিকানদের ওপর বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সম্পদ লক্ষ্য করে হামলা চালায়, তাহলে তেহরানের ৫২টি স্থানে ভয়াবহ হামলা চালানো হবে। অপরদিকে ইরান সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ২০১৫ সালে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তির মাধ্যমে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার একটিও আর মানা হবে না। ইরান সরকার বলছে, পরমাণু সমৃদ্ধকরণ, সমৃদ্ধ পরমাণুর মজুত বা পারমাণবিক গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর কোনো নিষেধাজ্ঞা মানবে না ইরান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৬:৫৭   ৫৫৬ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

আন্তর্জাতিক’র আরও খবর


অষ্ট্রেলিয়া ডে পুরষ্কার পেলেন নেহাল নাফসি রুপাই
অষ্ট্রেলিয়া ডে পুরষ্কার পেলেন নেহাল নাফসি রুপাই
গাজায় প্রতি ঘণ্টায় দুজন মায়ের মৃত্যু: জাতিসংঘ
গাজায় ২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৬৫ ফিলিস্তিনি
বিদ্রোহীদের হামলা: ভারতে পালাল মিয়ানমারের ৬০০ সেনা
এবার ইরানকে যে হুশিয়ারি দিলেন নেতানিয়াহু
রাশিয়ার জন্য নতুন ড্রোন বানাল ইরান, ব্যবহৃত হবে ইউক্রেনে
‘গাজায় জীবন বাঁচানোর কোনো কিছু নেই’
‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির চেয়েও গাজার ধ্বংসযজ্ঞ বড়’
গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে জাতিসঙ্ঘের জরুরি সভা



আর্কাইভ